কোরিয়ান ফল পর্ব ৩

ফল নিয়ে আমরা প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্বে ২০টি ফলের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। তেমনই তৃতীয় পর্বে নতুন আরও ১১টি ফল নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
২১. 블랙베리(ফুল্লেকবেরি) ব্ল্যাকবেরী:
কোরিয়ান ব্ল্যাকবেরীকে ফুল্লেকবেরি বলা হয়। ফলটি সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যায়। এটি হালকা টক-মিষ্টি জাতীয় ফল। সাধারণত তাজা খাওয়া হয় আবার ডেজার্ট হিসেবেও ফলটির বহুল ব্যবহার আছে।
২২. 라즈베리 (লাজুবেরি) রাস্পবেরী:
রাস্পবেরী ইংরেজি নামের সাথে কোরিয়ান লাজুবেরি নামের মিল আছে। সাধারণত রাস্পবেরি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যায়। সাধারণত টক-মিষ্টি স্বাদের একটি ফল। ফলটি জ্যাম ও ডেজার্টে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২৩. 크랜베리 (খুর্যানবেরী) ক্র্যানবেরী:
ক্র্যানবেরী-কে কোরিয়ায় খুর্যানবেরী বলা হয়। কোরিয়ায় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এ ফলটি পাওয়া যায়। ফলটির স্বাদ বেশ টক। সাধারণত জুস, সস ও শুকনো ফল হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২৪. 뽕나무 열매 (পোংনামু ইয়লমে) তুঁত ফল:
কোরিয়ানরা মালবেরী/তুঁত ফল-কে পোংনামু ইয়লমে বলে থাকে। স্বাদ বেশ তেঁতো ও আবার মিষ্টিও হয়ে থাকে। তাজা খাওয়া যায়, আবার জ্যাম ও চায়েও ব্যবহার করে খাওয়া যায়। বসন্তের শেষ থেকে গ্রীষ্মের শুরু** পর্যন্ত পাওয়া যায়। বিশেষ করে, মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। কোরিয়ায় তুঁত ফল খুবই জনপ্রিয় এবং এটি বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পানীয় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যেমন: 오디화채, 오디주
এসব খাবার তৈরিতে তুঁতফলের ব্যবহার দেখা যায়।
২৫. 석류 (ছংনিউ) ডালিম:
ডালিম আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ফল। এই ফলটিকে কোরিয়ানরা ছকনিউ বলে থাকেন। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডালিম পাওয়া যায়। এটি রসালো, টক-মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। জুস ও সালাদে ফলটির বহুল প্রচলন আছে।
২৬. 코코넛 (খোক্ষোনত) নারিকেল:
নারিকেল-কে কোরিয়ানরা খোক্ষোনত বলে থাকেন। ফলটি সারাবছরই পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশের মতই কোরিয়াতেও গ্রীষ্মকালে নারিকেলে জনপ্রিয়তা বেশি। এটি পানীয় হিসেবে, রান্না ও তেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২৭. 리치 (লিচ্ছি) লিচু:
কোরিয়ান লিচ্ছি শব্দটি লিচু নামে পরিচিত। সাধারণত জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত পাওয়া যায়। লিচু রসালো ও সুগন্ধযুক্ত একটি সুমিষ্ট ফল। তাজা খাওয়া যায় এবং জুস তৈরিতেও লিচুর বহুল ব্যবহার আছে।
২৮. 구아바 (খুয়াবা) পেয়ারা:
ইংরেজি গুয়াভা শব্দটির কোরিয়ান নাম হচ্ছে খুয়াবা। আর খুয়াবা মানে হচ্ছে পেয়ারা। পেয়ারা যেমন আমাদের দেশে সারাবছরই পাওয়া যায়। তেমনি কোরিয়াতেও সারাবছরই পাওয়া যায়। তবে গ্রীষ্মকালে বেশি দেখা যায়। পেয়ারা সাধারণত সরাসরি খাওয়া হয় আবার জ্যাম ও জুস তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২৯. 패션프루트 (ফেসিউনফুরুত্থু) প্যাশন ফল:
প্যাশন ফল-কে কোরিয়ায় ফেসিউনফুরুত্থু বলা হয়ে থাকে। আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যায়। এটি টক-মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। আবার স্মুদি। ডেজার্ট ও পানীয়তে ব্যবহার করা হয়ে থাকে প্যাশন ফলটি।
৩০. 아보카도 (আবোক্ষাদো) অ্যাভোকাডো:
অ্যাভোকাডোকে কোরিয়ায় আবোক্ষাদো বলা হয়। অ্যাভোকাডো একটি বারোমাসি ফল। তবে শীতকালে বেশি দেখা যায়। ফলটি সাধারণত সালাদ, স্মুদি ও স্যান্ডউইচে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৩১. 살구(ছালগু) এপ্রিকট:
এপ্রিকট-কে কোরিয়ায় ছালগু নামে পরিচিত। সাধারণত জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত এ দুই মাস এপ্রিকট পাওয়া যায়। এপ্রিকট টক-মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। এপ্রিকট সাধারণত শুকিয়ে অথবা জ্যাম তৈরি করে খাওয়া হয়ে থাকে।